সর্বশেষ
আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনেই জুলাই শহীদদের লাশ তোলা হবে: সিআইডি প্রধান
অযু বিহীন মোবাইলে কোরআন তিলাওয়াত করার হুকুম কী?
ভূমিকম্পের আগাম আভাস সবচেয়ে আগে পায় ব্যাঙ
ছেলেদের হাতে মেহেদি দেওয়ার বিধান কী?
রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত
আদালতে হাজির ১০ সামরিক কর্মকর্তা, অনুপস্থিত পলাতক আসামিরা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে
১৩ বছর পর পুনরায় চালু হচ্ছে ঢাকা–করাচি আকাশপথ
ইমরান খানকে দেশ ছাড়তে চাপ দেওয়া হচ্ছে: খুররম জিশান
মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরু
শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ সরকার: দুলু
বিদেশি আগ্রাসনের জবাবে প্রস্তুত তালেবান সরকার: মোল্লা বারাদার
হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৯৪
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা আমাদের ব্যাংকিং খাত :বাণিজ্য উপদেষ্টা
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি: মাওলানা মামুনুল হক্ব

বিএনপি বনাম জামায়াত: একই পরিবারের দুই ভাই এবার ভোটযুদ্ধে

আমার কলম অনলাইন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিরল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিবারের দুই ভাই এবার ভিন্ন দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে এসেছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে আলহাজ আজিজুর রহমান পেয়েছেন আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন। তিনি ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অপরদিকে তাঁর ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।

বিএনপি ও জামায়াত—দুই দলেরই দীর্ঘদিনের ভোটভিত্তি থাকা এ আসনে ভাই-ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।

বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম, তখন আমার ভাই আমার কর্মী ছিল। এখন সে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছে। তবে আমার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীরা সবাই আমার পক্ষেই আছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার বড় শক্তি। জামায়াত আমার ভাইকে প্রার্থী করে কোনো সুবিধা নিতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ আমি জয়ী হবো।”

অন্যদিকে জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, “আমার ভাই বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কিছু চাচাতো ভাই নিরপেক্ষ থাকলেও যারা সিদ্ধান্ত নেবে, তারা আমার দিকেই আসবে। আমি অনেক আগেই মাঠে নেমেছি, সংগঠনও প্রস্তুত। আমি আশাবাদী, ভোটে জয় আসবেই।”

স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একই পরিবারের দুই প্রার্থীর লড়াই ভোটারদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি করতে পারে। ফলে ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার ভোট বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ