সর্বশেষ
মহানবী (সা.) অবমাননা করে রাজীব সাহা এখনো অধরা
জুলাই সনদকে ইতিবাচক বললেও নির্বাচনী পরিকল্পনায় অসন্তোষ জামায়াতসহ সমমনা ৮ দলের
শিবচরে ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলায় রাজসাক্ষী হাজির ট্রাইব্যুনালে
শাপলা চত্বরে গণহত্যা তদন্তে দুই মাস সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল
নামসর্বস্ব সংগঠনের ব্যানারে ফের সক্রিয় ইসকন
শরিয়াহ আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে: টিটিপি
পরিবেশবান্ধব নির্বাচন নিশ্চিত করতে পোস্টার নিষিদ্ধ করল কমিশন
ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়াতেই পেঁয়াজের দামে পতন
আসামে ৫৮০ মুসলিম পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে দিল রাজ্য সরকার
ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা-মাছি মারার হুকুম কী?
জামায় কবুতরের বিষ্ঠা থাকলে কি নামায সহীহ হবে?
চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি-অটোর ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজপথ কর্মসূচি প্রতিরোধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান

নিউ ইয়র্কের ইতিহাস: প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন জোহরান মামদানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি। ডেমোক্র্যাট সমর্থিত এই রাজনীতিক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করে রচনা করেছেন নতুন ইতিহাস।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৩৪ বছরের মামদানি পেয়েছেন ১০ লাখ ১৮ হাজার ১৯০ ভোট—মোট ভোটের ৫০.৩ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুওমো পেয়েছেন ৮ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৬ ভোট (৪১.৬ শতাংশ)। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া পেয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৪ ভোট (৭.১ শতাংশ)।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। বিশ্বজুড়ে দৃষ্টি ছিল এই নির্বাচনে। ভোট শেষ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি মামদানির জয় নিশ্চিত করে। উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে এ জয় শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মাইলফলক হয়ে উঠেছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন জানায়, ১৯৮৯ সালের পর এবারই প্রথম ভোট দিতে এসেছে ২০ লাখের বেশি মানুষ। ভোটগ্রহণ চলাকালে বোর্ড জানায়, এবার উপস্থিতির হার অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।

৮৪ লাখ অধিবাসীর এ বৈশ্বিক মহানগরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতৃত্ব এখন মামদানি। শহরের বহুজাতি ও বহুধর্মী জনগোষ্ঠীর কাছে এ জয়কে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার সমর্থকদের মতে, বিজয় শুধু ধর্ম–জাতিগত পরিচয়ের নয়; জীবনযাত্রার ব্যয় ও নাগরিক সমস্যায় তার স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।

এই নির্বাচন ডেমোক্র্যাটদের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে দিকনির্দেশক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। অনেকের কাছে অ্যান্ড্রু কুওমো পুরোনো ধনকেন্দ্রিক রাজনীতির প্রতীক, বিপরীতে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ পরিচয়ে মামদানি দলের জন্য নতুন পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

এনবিসি নিউজের এক্সিট পোল বলছে, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো, এশীয়সহ প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর ভোটেই এগিয়ে ছিলেন মামদানি। ৪৫ বছরের নিচের ভোটারদের বিপুল সমর্থন পেয়েছেন তিনি—এই বয়সী ভোটারদের মধ্যে কুওমোর চেয়ে ছিলেন ৪৩ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারদের মধ্যে কুওমো এগিয়ে ছিলেন ১০ পয়েন্টে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নতুন বনাম পুরোনো বাসিন্দাদের মধ্যেও ভোটে পার্থক্য ছিল বলে পোলের বিশ্লেষণ জানায়।

ফিলিস্তিন–ইসরায়েল ইস্যুতে মামদানির অবস্থান পুরো প্রচারজুড়ে ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। মুসলিম পরিচয় ও ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্য নিয়ে বিরূপ প্রচারণা চললেও শেষ পর্যন্ত তাকে সমর্থন দেয় অধিকাংশ ভোটার। এক্সিট পোল অনুযায়ী, ইহুদি ভোটারদের মধ্যে কুওমো পান ৬০ শতাংশ ভোট, আর মামদানি পান ৩১ শতাংশ।

সুত্র- আলজাজিরা ও এনবিসি নিউজ

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ