ভারতের আসামে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে পরিচালিত উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজ্য সরকার ৫৮০টি মুসলিম পরিবারের বাড়িঘর ধ্বংস করে দিয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযানে বুলডোজার ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে শত শত মুসলিম পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিজেপি নেতা ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পল্লব লোচন দাস এক ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে পুরো অভিযানটির চিত্র ফুটে ওঠে।
সরকারি দাবি অনুযায়ী, এই অভিযানটি ছিল সংরক্ষিত দহিকাটা বনাঞ্চল থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের অংশ। প্রায় ১ হাজার বন ও পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে ১,১৪৩ বিঘা (প্রায় ১৫৩ হেক্টর) এলাকায় দুই দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে বলেন, “আমরা বনভূমির প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গোয়ালপাড়ার দহিকাটা আরএফের ১৫৩ হেক্টর জমির দখল অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা হবে।”
জেলা প্রশাসনের ভাষ্য, বনভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলোকেই উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরই একই ধরনের অভিযানে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমি উদ্ধার করা হয়েছিল।
তবে হেমন্ত সরকারের এ পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নির্বিচারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক স্বার্থে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে। এসব অভিযানের ফলে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।








