মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হলে তিনি আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সব পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।
নতুন ধারায় বলা হয়েছে—
যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের অধীনে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়; তবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা ওই পদে বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, মেয়র, কমিশনার বা সদস্য পদেও অযোগ্য হবেন।প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ বা অন্য কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্যতাও হারাবেন।তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি ট্রাইব্যুনালের রায়ে খালাস পান, তাহলে এই অযোগ্যতা আর প্রযোজ্য হবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিচারাধীন অবস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউ যেন রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্বে না থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (তৃতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে নতুন এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে ২০(সি) ধারা যোগের মাধ্যমে সংশোধনটি আনা হয়েছে।