সর্বশেষ
মহানবী (সা.) অবমাননা করে রাজীব সাহা এখনো অধরা
জুলাই সনদকে ইতিবাচক বললেও নির্বাচনী পরিকল্পনায় অসন্তোষ জামায়াতসহ সমমনা ৮ দলের
শিবচরে ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলায় রাজসাক্ষী হাজির ট্রাইব্যুনালে
শাপলা চত্বরে গণহত্যা তদন্তে দুই মাস সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল
নামসর্বস্ব সংগঠনের ব্যানারে ফের সক্রিয় ইসকন
শরিয়াহ আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে: টিটিপি
পরিবেশবান্ধব নির্বাচন নিশ্চিত করতে পোস্টার নিষিদ্ধ করল কমিশন
ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়াতেই পেঁয়াজের দামে পতন
আসামে ৫৮০ মুসলিম পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে দিল রাজ্য সরকার
ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা-মাছি মারার হুকুম কী?
জামায় কবুতরের বিষ্ঠা থাকলে কি নামায সহীহ হবে?
চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি-অটোর ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজপথ কর্মসূচি প্রতিরোধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান

ইসলামবিদ্বেষী কাঠামোর ফলেই ঘটেছে নর্থ সাউথে কোরআন অবমাননা

Hafez MD Nazim Uddin

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর হাতে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩২৫ জন শিক্ষক। বুধবার (৮ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল সচেতনভাবে কুরআনুল কারিম পদদলিত করে ভিডিও ধারণ করে প্রচার করেছেন। এটি কেবল ধর্মীয় অবমাননা নয়— বরং একাডেমিক ও নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করা এক জঘন্য অপরাধ।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম চর্চাকে পরোক্ষভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ক্লাসে ইসলামী দৃষ্টান্ত ব্যবহার করায় শিক্ষক চাকরিচ্যুত হচ্ছেন, অথচ এলজিবিটি বা জেন্ডার আইডেন্টিটির মতো বিষয়গুলো উল্টো উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘প্রেয়ার রুম’ নামের জায়গাগুলোতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সুবিধা রাখা হয় না— যা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “নর্থ সাউথে কুরআন অবমাননার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়; বরং এটি দীর্ঘদিনের কাঠামোগত ইসলামোফোবিয়ার প্রকাশ।” তাঁরা আরও প্রশ্ন তোলেন সরকারের ভূমিকা নিয়েও। রাখাল রাহা ও “রেবিল” নামের ব্যক্তির ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

শিক্ষকবৃন্দের দাবি—

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যেন ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।

নর্থ সাউথসহ সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামবিদ্বেষমূলক কার্যকলাপ তদন্ত ও সংস্কার করা হয়।

মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মানজনকভাবে নামাজ ও ধর্মচর্চার সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিটি ক্যাম্পাসে নির্ধারিত ইমামসহ আলাদা নামাজের ঘর স্থাপন করা হয়।

ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধেও সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট নীতির মতো স্পষ্ট পলিসি প্রণয়ন করা হয়।

বিবৃতিতে তাঁরা আহ্বান জানান, কুরআন অবমাননার ঘটনায় দোষীর সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইসলামবিদ্বেষ ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ গ্রহণ করা হোক।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ