সর্বশেষ
শাপলা চত্বরে গণহত্যা তদন্তে দুই মাস সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল
নামসর্বস্ব সংগঠনের ব্যানারে ফের সক্রিয় ইসকন
শরিয়াহ আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে: টিটিপি
পরিবেশবান্ধব নির্বাচন নিশ্চিত করতে পোস্টার নিষিদ্ধ করল কমিশন
ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়াতেই পেঁয়াজের দামে পতন
আসামে ৫৮০ মুসলিম পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে দিল রাজ্য সরকার
ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা-মাছি মারার হুকুম কী?
জামায় কবুতরের বিষ্ঠা থাকলে কি নামায সহীহ হবে?
চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি-অটোর ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজপথ কর্মসূচি প্রতিরোধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান
“আমাদের অভিধানে আত্মসমর্পণ নেই” রাফায় হামাস যোদ্ধাদের অঙ্গীকার
নভেম্বরের প্রথম ৮ দিনে দেশে ৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
সরকারি টাকায় নিম্নমানের লিফট, বন্দরের ছয় প্রকল্পে কোটি টাকার হরিলুট
আমেরিকার সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-জুলানী

অস্ত্রের পেছনে ট্রিলিয়ন ডলার, মানুষ রয়ে যায় অনাহার: ডঃ ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মূল কারণ সম্পদের ঘাটতি নয়, বরং এটি মানবসৃষ্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ত্রুটির ফল। তাঁর মতে, ক্ষুধা দূরীকরণের পরিবর্তে অস্ত্রশস্ত্রের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করাই মানবজাতির এক গভীর নৈতিক ব্যর্থতা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “২০২৪ সালে পৃথিবীতে প্রায় ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করি। সমস্যা উৎপাদনের নয়, সমস্যা অর্থনৈতিক কাঠামোর— এটি মানবতার নৈতিক ব্যর্থতা।”

তিনি আরও বলেন, “ক্ষুধা দূর করতে আমরা যেখানে সামান্য কয়েক বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে পারিনি, সেখানে বিশ্বজুড়ে অস্ত্রখাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এটা এক ভয়াবহ বৈপরীত্য।”

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমাদের দেশ আয়তনে ছোট—ইতালির প্রায় অর্ধেক। তবুও আমরা ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছি এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছি।”

অধ্যাপক ইউনূসের মতে, টেকসই মানব উন্নয়নের জন্য বিশ্বকে এখনই অস্ত্র প্রতিযোগিতা নয়, বরং মানবিক অর্থনীতি গড়ার দিকে মনোযোগী হতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ