মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল জুড়ে এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটি। টানা প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আহত, নিখোঁজ ও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা দিনরাত কাজ করে চললেও দুর্যোগের মাত্রা এখনো ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে।
গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে নদী-নালা উপচে চারপাশের বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভূমিধসের কারণে বহু সড়ক, সেতু ও যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে তৎপরতা চালাচ্ছে।
মেক্সিকোর জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান লাউরা ভেলাসকেজ জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভেরাক্রুজ, হিদালগো এবং পুয়েবলা প্রদেশে। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও ১৭ জনের মৃত্যুতে পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, ফসল নষ্ট হয়েছে এবং গ্রামীণ জীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাম জানিয়েছেন, উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর হাজারো সদস্য অংশ নিচ্ছেন। বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি সেনা ও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। গৃহহীনদের জন্য খোলা হয়েছে শতাধিক অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে অন্তত ৫৫টি শহরের প্রায় ১৬ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এখনো অন্তত ৬৫ জন নিখোঁজ রয়েছে, যাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।








