অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এক সপ্তাহ পার হয়েছে। টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনের পর গত ১০ অক্টোবর ধ্বংসস্তূপে পরিণত এ এলাকায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরাইল।
তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এখনো ধীরগতির। স্থানীয়দের প্রয়োজনের তুলনায় অল্প পরিমাণ ত্রাণই উপত্যকায় প্রবেশ করছে।
দীর্ঘ আগ্রাসনে গাজার কৃষি অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে উপত্যকায় খাদ্যপণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্কতা জানিয়েছে।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, আগে গাজায় এক কেজি টমেটোর দাম ছিল মাত্র ৬০ সেন্ট, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ ডলারে— তাও সবসময় পাওয়া যায় না।
পোস্টে আরও বলা হয়, যে পরিবারগুলো আগে নিজেদের জমির ফসলেই জীবনযাপন করত, তারা এখন সম্পূর্ণভাবে আয়ের উৎস হারিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজার কৃষি পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত অবাধ ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক,অন্যথায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে, গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে কিসসুফিম সীমান্ত ক্রসিংয়ে শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে। গাজায় প্রবেশের জন্য ইসরাইলের অনুমোদনের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। দৈনিক অন্তত ৬০০ ট্রাকের প্রয়োজন থাকলেও দিনে ৩০০’র কম ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারছে। এছাড়া, ইসরাইলের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে ত্রাণসামগ্রীর ধরন ও পরিমাণেও নিয়ন্ত্রণ বজায় আছে।






