দেশব্যাপী ইসকন কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হত্যাচেষ্টা ও দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র-ছাত্রী বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি টিএসসিতে পৌঁছে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশ করে শেষ হয়।
বিক্ষোভকারীরা অতঃপর বিভিন্ন নিন্দাসূচক ও প্রতিবাদী স্লোগান দেয়, যেমন— “ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী”, “একটা একটা ইসকন ধর, ধরে ধরে জেলে ভর”, “আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই” এবং “ইসকন আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার” ইত্যাদি।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহতাপ ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার কারণেই খতিব মহিবুল্লাহকে পঞ্চগড়ে ইসকন সদস্যরা অপহরণ করে নির্যাতন করেছে—এই ঘটনার কারণে ছাত্রসমাজ গভীরভাবে নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার ও বিদেশি প্রভাবের ছত্রছায়ায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিচালিত হওয়ার চেষ্টা চলছে, যা আগস্ট বিপ্লবে প্রতিহত করা হয়েছে; বাংলাদেশ কোনো বিদেশি নির্দেশে চলবে না।
আরেক বিক্ষোভকারী সাদমান আব্দুল্লাহ দাবি করেন, ইসকন শুরু থেকেই জঙ্গি ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে এবং ভারতীয় নির্দেশে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি গাজীপুরে ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণ এবং খতিব অপহরণের মতো ঘটনায় ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও তুলেছেন।
ছাত্ররা প্রশাসনের প্রতি জোর আবেদন জানিয়েছে—শিগগিরই ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা প্রয়োজন। তারা যেন নিশ্চিত হয় যে, জুলাই–আগস্টের বিপ্লবে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের অর্জিত দেশের মধ্যে কোনো জঙ্গি বা ইসলামবিরোধী সংগঠন কার্যক্রম চালাতে না পারে।





