কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির মাত্র ১১ দিন পর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বেসামরিক বিমান চলাচল উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ সংক্রান্ত একটি দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। ১২ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সি-১ শাখার যুগ্ম সচিব আহমেদ জামিল স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দি সিভিল এভিয়েশন রুলস, ১৯৮৪’–এর রুল ১৬ (১)-এর ক্ষমতাবলে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’ প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ ছিল, জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ঘোষণার পরপরই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং দ্রুতই উড়ান শুরু করা সম্ভব হবে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মুর্তজা হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি ছোটখাটো কাজ বাকি থাকলেও অনুমোদন কার্যকর থাকলে এ মাসের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা যেত।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার ৭৯০ ফুট থেকে সম্প্রসারিত হয়ে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত হয়েছে এবং প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ২০০ ফুট করা হচ্ছে। ওয়াইড-বডি বিমান চলাচলের উপযোগী করতে রানওয়ের লোড ক্ষমতা বৃদ্ধি, আলোক ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ও ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্যকর রয়েছে—ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।





