বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে নিম্নচাপ কেন্দ্রের আশপাশে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, এই নিম্নচাপটি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে রবিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর নিম্নচাপে এবং আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘মন্থা’, যা থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম—অর্থ ‘সুগন্ধি ফুল’ বা ‘সুন্দর ফুল’।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে তিন ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ঝড়টি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে দিক পরিবর্তন হলে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি যদি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানে, তবুও বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা—পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এর প্রভাব পড়তে পারে। ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টিপাত, জলোচ্ছ্বাস ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় উপকূলীয় জনগণকে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।





