রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কর্মজীবী মায়েদের জন্য অফিসের সময়সীমা আট ঘণ্টা থেকে কমিয়ে পাঁচ ঘণ্টা করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রবিবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড মেনারে ‘কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকানস’-এর আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন, আবার কর্মজীবনের দায়িত্বও পালন করছেন। পুরুষের মতো নারীরও সমান সময় কাজ করা কতটা ন্যায্য? আমরা ক্ষমতায় গেলে মায়েদের কর্মঘণ্টা পাঁচ ঘণ্টায় নামিয়ে আনব, যাতে তাঁরা সন্তানের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের অতিরিক্ত সম্মান ও মর্যাদা দেব—এটাই ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিয়ে পরিবার ও কর্মক্ষেত্র দুই দিকেই দায়িত্ব পালন করেন। পুরুষ আট ঘণ্টা কাজ করবেন, আর মাও সমান সময় কাজ করবেন—এটা কি ন্যায়সঙ্গত? তাই আমরা ক্ষমতায় গেলে মায়েদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব, যাতে তাঁরা সন্তানের হক আদায় করতে পারেন।”
জামায়াতের এই নেতা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, মায়েরা এতটাই দায়িত্বশীল যে পাঁচ ঘণ্টার সময়সীমায়ও তাঁরা আট ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন। তাঁরা বুঝবেন, সরকার তাঁদের যে সম্মান দিয়েছে, তার প্রতিদান দেওয়া তাঁদের কর্তব্য।”
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা জানি, এই সরকারের মেয়াদকালে সব হত্যার বিচার শেষ করা সম্ভব নয়। তবে জাতি অন্তত একটি দৃশ্যমান রায় দেখতে চায়, যাতে ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসে। পরবর্তীতে যে সরকার দায়িত্ব নেবে, তাদের উচিত হবে সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা। আমরা সাজানো নয়, প্রকৃত ন্যায়বিচার চাই।”
প্রবাসীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু রেমিট্যান্স পাঠানোই নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও যুক্ত করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তরুণ প্রজন্মের সাফল্য আমাদের গর্বিত করে। আমরা চাই, তারা দেশের অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করুক।”
এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা দেশে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না, তাঁরা এখান থেকেই দোয়া করবেন, কিন্তু ভোটের অধিকার যেন হারিয়ে না যায়। প্রবাসীদের ভোট দেশের উন্নয়নযাত্রার এক শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।”






