কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কায়ুকখালী ঘাট থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া একটি বাংলাদেশি ট্রলারসহ সাত জেলেকে আটক করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। আটক জেলেদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি এবং দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। বুধবার সকালে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের সীতা নামক সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার সময় ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে নাফ নদী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে অন্তত ২৩৯ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এদের মধ্যে ১২৪ জনকে মুক্ত করা গেলেও এখনো প্রায় ১১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, আটক ট্রলারটি টেকনাফ পৌরসভার শাওন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন। তিনি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গেলে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে জেলেদের অপহরণ করছে। বুধবার শাওনের ট্রলারসহ সাত মাঝিমাল্লাকে ধরে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেও সোমবার একইভাবে চার জেলেকে আটক করেছিল এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
এদিকে রাখাইনভিত্তিক আরাকান আর্মির পরিচালিত ওয়েবসাইট ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’-এ আটক নৌকা ও জেলেদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মংডু টাউনশিপের রাজাগ্রাম উপকূল থেকে মাছ ধরার একটি কাঠের ট্রলারসহ সাত জেলেকে আটক করা হয়। ট্রলার থেকে তিনটি মাছ ধরার জাল এবং প্রায় ২৬০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করা হয়েছে। আরাকান আর্মির দাবি, ট্রলারটি মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছে।





