ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে তারা আর নীরব থাকবে না। সংগঠনটি সরাসরি ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমান সংঘাতের জন্য দায়ী করেছে। এই সতর্কবার্তা এসেছে এমন সময়ে, যখন ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
বুধবার প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হামাস জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলা প্রমাণ করে যে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শারম আল-শেখে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করছে। সংগঠনটি বলে, তারা এখনো চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ইসরাইল সামরিক আগ্রাসন চালালে প্রতিরোধ বাহিনীও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
হামাস আরও স্পষ্ট করে জানায়, রাফা সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংগঠনটি ইসরাইলি বিমান হামলাকে যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করে দেয় যে, এই আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও কঠোর সমালোচনা করে হামাস বলেছে, ওয়াশিংটন তার নীরবতা ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানের মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলকে রক্তপাতের সুযোগ করে দিচ্ছে।
সংগঠনটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গাজার সব প্রতিরোধ গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ এবং তারা যুদ্ধবিরতির সব শর্ত মেনে চলছে। তবে ইসরাইল যদি সামরিক হুমকির মাধ্যমে চুক্তির শর্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করে, তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। হামাসের এই বক্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, গাজায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে ইসরাইলকে তার আগ্রাসী নীতি পরিবর্তন করতে হবে।
তথ্যসূত্র: মেহের নিউজ








