কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার গরুর খামারে তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে ১২টি দুধেল গরু লুট করে নিয়ে গেছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
গত রবিবার (১ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে মাদরাসা শিক্ষক ও স্থানীয়দের কাছ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এতিমখানার এই খামারের আয় দিয়েই মাদরাসার খরচ পরিচালিত হয়। পরপর দুইবারের ডাকাতির ঘটনায় শিক্ষক, ছাত্র ও কেয়ারটেকারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে খামারে মাত্র ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে। খামারের পাশে এখনও পড়ে আছে ডাকাত দলের আনা তুষের বস্তা, যেগুলো ব্যবহার করে গরুগুলো পিকআপে তোলা হয়েছিল।
এলাকাবাসী দ্রুত গরু উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলার বাদী ও মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে দুইটি পিকআপভ্যানে করে একদল সশস্ত্র ডাকাত মাদরাসায় হামলা চালায়। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, কয়েকজনকে মারধর করে এবং তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে খামারের কেয়ারটেকার উৎসব হোসাইনকে বেঁধে রেখে একে একে ৫টি গরু পিকআপে তুলে নেয় ডাকাতরা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাত দল দ্রুত পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, এই খামারের উপার্জন দিয়েই এতিমখানার ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এর আগে তিন মাস আগে একই খামার থেকে আরও ৭টি গরু লুট হয়েছিল বলে তিনি জানান।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং লুট হওয়া গরু উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।





