সর্বশেষ
মহানবী (সা.) অবমাননা করে রাজীব সাহা এখনো অধরা
জুলাই সনদকে ইতিবাচক বললেও নির্বাচনী পরিকল্পনায় অসন্তোষ জামায়াতসহ সমমনা ৮ দলের
শিবচরে ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলায় রাজসাক্ষী হাজির ট্রাইব্যুনালে
শাপলা চত্বরে গণহত্যা তদন্তে দুই মাস সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল
নামসর্বস্ব সংগঠনের ব্যানারে ফের সক্রিয় ইসকন
শরিয়াহ আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে: টিটিপি
পরিবেশবান্ধব নির্বাচন নিশ্চিত করতে পোস্টার নিষিদ্ধ করল কমিশন
ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়াতেই পেঁয়াজের দামে পতন
আসামে ৫৮০ মুসলিম পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে দিল রাজ্য সরকার
ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা-মাছি মারার হুকুম কী?
জামায় কবুতরের বিষ্ঠা থাকলে কি নামায সহীহ হবে?
চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি-অটোর ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজপথ কর্মসূচি প্রতিরোধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান

বিএনপি বনাম জামায়াত: একই পরিবারের দুই ভাই এবার ভোটযুদ্ধে

আমার কলম অনলাইন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিরল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিবারের দুই ভাই এবার ভিন্ন দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে এসেছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে আলহাজ আজিজুর রহমান পেয়েছেন আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন। তিনি ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অপরদিকে তাঁর ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।

বিএনপি ও জামায়াত—দুই দলেরই দীর্ঘদিনের ভোটভিত্তি থাকা এ আসনে ভাই-ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।

বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম, তখন আমার ভাই আমার কর্মী ছিল। এখন সে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছে। তবে আমার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীরা সবাই আমার পক্ষেই আছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার বড় শক্তি। জামায়াত আমার ভাইকে প্রার্থী করে কোনো সুবিধা নিতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ আমি জয়ী হবো।”

অন্যদিকে জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, “আমার ভাই বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কিছু চাচাতো ভাই নিরপেক্ষ থাকলেও যারা সিদ্ধান্ত নেবে, তারা আমার দিকেই আসবে। আমি অনেক আগেই মাঠে নেমেছি, সংগঠনও প্রস্তুত। আমি আশাবাদী, ভোটে জয় আসবেই।”

স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একই পরিবারের দুই প্রার্থীর লড়াই ভোটারদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি করতে পারে। ফলে ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার ভোট বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ