সর্বশেষ
রাসুল সাঃ-এর পবিত্র জীবনী: পর্ব-২
এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ করা যাবে
আজকে আন্তর্জাতিক সংবাদ: আমার দেশ
ইংল্যান্ড থেকে উড়ে এসে অনুশীলনে হামজা, উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল
প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ লাখ টাকার উপরে, ইতিহাসের সর্বোচ্চ
প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ–সৌদি চুক্তি স্বাক্ষর
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় এলে দেশে আরো চাঁদাবাজি বাড়বে: চরমোনাই
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীদের কুরআন চর্চার আহ্বান: মুফতি হারুন ইজহার দাঃবাঃ
গাজা যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে বৈঠক, তবুও থামছে না ইসরাইলের হামলা।
রাজধানীবাসীর জন্য সুসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
নির্বাচনের আগে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান
যমুনা টিভির আজকের সকল সংবাদ। যমুনা টিভি
এই প্রথমবার ভারত সফর করবেন তা_লেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করলো।
রেমিট্যান্সের জোয়ারে দেশের রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

রাসুল সাঃ-এর পবিত্র জীবনী: পর্ব-২

Hafez MD Nazim Uddin

মরুপ্রান্ত থেকে অনেক দাই (দুধমা) শিশু লালন-পালনের জন্য মক্কায় আসতেন। তাঁদের মধ্য থেকে হালিমা বিনতে আবু যায়দ সাদিয়া (রাদিয়াল্লাহু আনহা) নামে এক নারী, তাঁর স্বামী হারিস ইবনু আবদুল উযযাসহ এসেছিলেন।সেদিন অন্য সব দাই ধন-সম্পদশালী পরিবারগুলোর শিশু বেছে নেয়, কারণ এতিম শিশু থেকে সাধারণত কোনো উপহার পাওয়া যেত না।

কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় হালিমা তাঁর স্বামীকে বলেন—“চলেন এই এতিম শিশুটিকেই (রাসুল সাঃকে) নিয়ে যাই। হয়তো এতে বরকত থাকবে।”এভাবেই নবী করিম ﷺ গেলেন বনু সা‘দ গোত্রে।

বরকতের শুরু

হালিমা নবীজী ﷺ-কে কোলে নেওয়ার মুহূর্ত থেকেই তাঁর জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়।তাঁর উটনীর শুকনো স্তনে দুধ ফিরে আসে।তাঁর গাধা, যা চলতে পারছিল না, হঠাৎ দ্রুতগামী হয়ে ওঠে। তাদের মরুপ্রান্তে পৌঁছেই দেখা গেল, তাঁদের পশুগুলো প্রচুর দুধ দিতে শুরু করেছে। হালিমাতুস সা’দিয়া  নিজেই বলেন —“যেখানেই মুহাম্মাদ ছিল, সেখানেই বরকত নেমে আসত।”

শৈশবের জীবন ও শিক্ষা

নবী ﷺ বনু সা‘দ গোত্রে প্রায় চার বছর অবস্থান করেন।এই সময় তিনি।মরুপ্রান্তের বিশুদ্ধ ও সাবলীল আরবি ভাষা আয়ত্ত করেন।প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়ে শারীরিকভাবে দৃঢ় ও সহনশীল হন এবং অত্যন্ত ভদ্র, শান্ত ও চিন্তাশীল স্বভাব প্রকাশ করতে থাকেন।

বক্ষ বিদারণের ঘটনা (شقّ الصدر)

নবীজী ﷺ যখন প্রায় চার বছরের, তখন একদিন তিনি সহপাঠীদের সঙ্গে খেলছিলেন। হঠাৎ দুজন সাদা পোশাক পরা ফেরেশতা এসে তাঁকে শুইয়ে তাঁর বুক বিদীর্ণ করেন।পবিত্র হৃদয় বের করে একটি কালো অংশ বের করেন। তা জমজমের পানি দিয়ে পরিশুদ্ধ করেন। তারপর আবার যথাস্থানে স্থাপন করেন। ফেরেশতারা বলেন-“এটাই হলো সেই অংশ, যেখানে শয়তান প্রভাব ফেলতে পারে। সহপাঠীরা দেখে ভয়ে দৌড়ে গিয়ে বিষয়টি মা হালিমাকে জানায়। হালিমা সা’দিয়া ভয়ে তাঁকে দ্রুত মক্কায় তাঁর মা আমিনা (রাঃ)-এর কাছে ফিরিয়ে দেন।

মায়ের সান্নিধ্যে ফেরা

হালিমা সা’দিয়া নবীজী ﷺ-কে ফিরিয়ে দিলে মা আমিনা অত্যন্ত স্নেহভরে তাঁকে কোলে তুলে নেন।এরপর নবী ﷺ মায়ের কাছে থাকতে থাকেন যতক্ষণ না মা আমিনা তাঁকে নিয়ে তাঁর পিতা আবদুল্লাহর কবর জিয়ারতের জন্য ইয়াসরিব (মদিনা) যান।

পড়ুন আগের পর্ব-১

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ