নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় ছাত্রশিবির আয়োজিত দারসুল কুরআন অনুষ্ঠানে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলা। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
আরো পড়ুন
বিবৃতিতে তারা বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নেয়াজপুর কাশেমবাজার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ছাত্রশিবিরের দারসুল কুরআন প্রোগ্রামে যুবদল নেতা ফারুকের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফারুক ছাড়াও বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন বাবুল, জাকির হোসেন আলো, কর্মী ইমাম হোসেন রায়হান ও কামাল হোসেন, ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ইলিয়াস সুজন এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন রেজাসহ শতাধিক কর্মী এ ঘটনায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। হামলায় ছাত্রশিবিরের অন্তত ১৫ জন সদস্য গুরুতর আহত হন।
ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, “গতকালও একইভাবে কুরআন শিক্ষার অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছিল। মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।”
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সংবিধান স্বীকৃত একটি আদর্শিক সংগঠন। কোনো বৈধ সংগঠনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা আইনবিরোধী ও অনৈতিক কাজ। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আদর্শিক বিকাশে কাজ করায় শিবিরের কার্যক্রমে ভীত হয়ে অতীতের মতোই ফ্যাসিস্ট মনোভাব নিয়ে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে।”
নেতারা বলেন, “ছাত্রশিবির ধৈর্য, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির পথে অটল থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপি নেতৃত্বের কাছে আহ্বান জানাই—ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”