সর্বশেষ
পুলিশের পোশাকের ডিবি হারুন ছিলো একজন মাফিয়া
সোনার দামে স্বস্তি, বড় পরিমাণে মূল্যহ্রাসের ঘোষণা
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে তিন দেশ থেকে সার কেনার সিদ্ধান্ত
উত্তর প্রদেশের বুলডোজার কৌশল — মুসলিম জনবসতি ও ব্যবসা লক্ষ্যবস্তু, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়াই ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগ
মানবতাবিরোধী গুম মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
অবৈধ অভিবাসনে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিযান, গ্রেপ্তার প্রায় পাঁচ লাখ
আওয়ামী লীগ নয়, জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা আগে হওয়া উচিত: বুলু
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ৫১৩ কোটি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
রাশিয়া থেকে তেল কিনলে ভারতের ওপর ‘কঠোর শুল্ক’ আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ইয়েমেনের হুথিদের অভিযানে জাতিসংঘের ২০ গুপ্তচর আটক
কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ আগুনে ধস রপ্তানি বাণিজ্যে, ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বোমায় ঝরল ২০ প্রাণ
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
ছাত্রশিবিরের কোরআন প্রোগ্রামে ছাত্রদলের হামলা
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারো বেড়েছে

কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ আগুনে ধস রপ্তানি বাণিজ্যে, ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা

আমার কলম অনলাইন

দেশের প্রধান অবকাঠামো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের রপ্তানি খাত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এ ঘটনায় প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

আরো পড়ুন

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারো বেড়েছে

সোমবার দুপুরে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শুধু উদ্যোক্তারা নয়, সরকারও বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট হয়েছে, ফলে রপ্তানি বাজার হারানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের উচিত দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন করে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া। শাহজালাল বিমানবন্দর আমাদের রপ্তানি খাতের হৃদপিণ্ড—এখানে এমন দুর্ঘটনা আর কাম্য নয়।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং জোন দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন কোটি কোটি ডলারের পণ্য এখানে লোড-আনলোড হয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন লাগা নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

তারা প্রশ্ন তোলেন—এমন সংবেদনশীল এলাকায় কি পর্যাপ্ত অটোমেটিক ফায়ার ডিটেকশন ও প্রোটেকশন সিস্টেম ছিল? আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট কোথায় ছিল? বাইরে থেকে ফায়ার সার্ভিসের পৌঁছাতে এত সময় কেন লাগল?

নেতারা অভিযোগ করেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (সিএএবি), কাস্টমস হাউস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স—এই তিনটি সংস্থা টার্মিনালের দায়িত্বে থাকলেও কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডে তৈরি পোশাক, চামড়া, হিমায়িত মাছ, কৃষিপণ্য, ফলমূল ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য পুড়ে গেছে। এতে বহু বিদেশি ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেছেন এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইএবি ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করে, যার মধ্যে রয়েছে—

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিমা দাবির দ্রুত নিষ্পত্তি,

বিমা কাভারবিহীন পণ্যের জন্য বিশেষ সরকারি তহবিল গঠন,

বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা জোরদার,

রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন,

আধুনিক স্ক্যানার ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন,

কার্গো ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন ও উন্নত ফায়ার প্রোটেকশন ব্যবস্থা।

সংগঠনটি আরও প্রস্তাব করে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার, সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ